জলপাই শুধু ফল হিসেবে নয়, এর তেলও খুব স্বাস্থ্যকর। জলপায়ের তেল রান্নায় ব্যবহার করে থাকেন অনেকেই ৷ সরষের তেল এবং সাদা তেলের পাশাপাশি অলিভ অয়েল শরীরের জন্য অনেক উপকার । সাধারণত আমরা জলপাইয়ের আচার করে খাই । কিন্তু এর চেয়ে কাঁচা জলপাইয়ে রয়েছে বেশি পুষ্টিমান । তবে শুধু রান্না নয়, আরও বহু ক্ষেত্রেই অলিভ অয়েল ব্যবহার করা হয় এবং এর চাহিদাও দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে । এই অলিভ সব থেকে বেশি জন্মায় পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের উপকূলীয় এলাকায় ৷ এই অলিভ গাছ সাধারণত ৮-১৫ মিটার দীর্ঘ হয় ৷ পৃথিবীর মধ্যে গ্রীসে সব থেকে বেশি ব্যবহার করা হয় অলিভ অয়েল বলে জানা যায় ৷ তবে বর্তমানে এর গুণাগুণের জন্য অন্যান্য দেশেও এর চাহিদা কিছু কম নয়, কারণ হার্ট অ্যাটাক, আর্থারাইটিস, স্তন ক্যানসার, কোলোরেক্টাল ক্যানসার, জরায়ু ক্যানসার থেকে শুরু করে কোষ্ঠ কাঠিন্য, গলব্লাডারে সমস্যা, মাইগ্রেন-এর সমস্যা প্রভৃতি বিভিন্ন ধরণের রোগ ও  অসুবিধার সাথে মোকাবিলায় বা তাদের প্রতিহত করতে অলিভ অয়েল বা জলপাই এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে ৷ 

জলপাই এর পুষ্টিগুণ

জলপাই এর মধ্য অনেক পুষ্টিগুণ বিদ্যমান। জলপাইয়ের প্রতি 13.5 গ্রাম বা 1 টেবিল চামচে শক্তি আছে 119 পরিমাণ, তার মধ্য ফ্যাট 13.5গ্রাম, সি এইচ ও আছে 0গ্রাম, প্রোটিন আছে 0গ্রাম, কিছু স্যাট ফ্যাট 13.8 গ্রাম বিদ্যমান, পালমিটিক অ্যাসিড থাকে 11.2 গ্রাম, মোনোআনস্যাট ফ্যাট 72.96 গ্রাম, আছে ভিটামিন ই 14.35 মিলিগ্রাম,বেশি থাকে ওলেইক অ্যাসিড 71.2গ্রাম , পলিআনস্যাট ফ্যাটও 10.5 গ্রাম, কিন্তু কোলেস্টেরল 0গ্রাম। সুত্ররাং অলিভ অয়েলে বা জলপাই এ কোলেস্টেরল নেই ।

অলিভ অয়েল বা জলপাই এর স্বাস্থ্য উপকারিতা

আমাদের ইসলাম ধর্মেও অলিভ অয়েল বা জলপাইয়ের তেল খাওয়া এবং ব্যবহারের গুরত্ব দেয়া হয়েছে। আল্লাহর রাসুল (স.) বলেছেন, “কুলু আয যাইতু ওয়াদ দাহিনু বিহি, ফা ইন্নাহু মিন শাজারাতিন মুবারাকাতিন” অর্থ- তোমরা এই তেলটি খাও, তা শরীরে মাখাও।” কিছু লোকের দেহে কোলস্টেরলের মাত্রাটা বেশি থাকে, তাঁদের জন্য জলপাই তেলের কোনো বিকল্প নেই। এ তেলের রান্না যেমন ভালো, ত্বকের ক্ষেত্রে ব্যবহার উপযোগী। অনেকের ত্বকে চুলকানির সমস্যা রয়েছে, তাঁরা নির্দ্বিধায় এ তেল ম্যাসাজ করতে পারেন । এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক স্বাস্থ্যের জন্য কী কী উপকার করে অলিভ অয়েল বা জলপাই ৷

ওজন নিয়ন্ত্রণ

অনেকের স্বাস্থ্যের ওজন কমাতে বা নিয়ন্ত্রণ করতে কত কিছুই না করতে হয়৷ এক্ষেত্রে ম্যাজিক দেখাতে পারে কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল ৷ গবেষণাপত্রেও হার্ভার্ড স্কুল অব পাবলিক হেলথ- এই বিষয়ের সম্পর্কে উল্লেখ করেছে। কারন জলপাই বা অলিভের মধ্য আছে মনো স্যাচুরেটেড ফ্যাট যা শরীরের ভিতরের ফ্যাট জাতীয় কোষকে ভাঙতে সাহায্য করে ৷ এই তেলে আরও থাকে অ্যাডিপন্সটিন নামক এক জাতীয় প্রোটিন যেটা ওজন ঠিক রাখতেও সাহায্য করে ৷ এছাড়া এই উপাদান দেহে হরমোনের মাধ্যমে অতিরিক্ত মেদকে ঝরিয়ে ফেলতেও সাহায্য করে৷

কোষ্ঠকাঠিন্য দূরীকরণ

কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা যে কোন মানুষের জন্য একটি বড় ভোগান্তির কারন ৷ যা মানুষকে অনেক সমস্যাই ফেলে। এই সমস্যার হাত থেকে মুক্তি দিতে পারে জলপাই তেল, যা আমাদের অনেকেরই অজানা ৷ জলপাই বা অলিভ অয়েলে অত্যধিক মাত্রায় মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূরীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ৷ এছাড়া ভিটামিন ই, কে, আয়রন, ওমেগা-৩, এই উপাদানগুলিও থাকে অলিভ অয়েলে ৷ এতে হজম শক্তিতে ভালো প্রভাব ফেলে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হয় ৷ এক্ষেত্রে এক কাপ গরম দুধে এক টেবিল চামচ এক্সট্রা ভার্জিন অয়েল মিশিয়ে খালি পেটে তা পান করতে হবে৷ তাছাড়া প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ও রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে এক টেবিল চামচ এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল খেতে পারেন ৷ এতেও অনেক উপকার পেতে পারেন। প্রতিদিন এক টেবিল চামচ অলিভ অয়েল-এর সাথে এক টেবিল চামচ পাতি লেবুর রস মিশিয়ে খেলে খুব স্বাভাবিক নিয়মেই কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পাবেন। আবার প্রতিদিন ভোরে খালি পেটে এক গ্লাস কমলালেবুর রসে এক টেবিল চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে পান করলে, দেখবেন কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা ধীরে ধীরে চলে যাবে ৷

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ

অলিভ অয়েলে  থাকা পলি ও মোনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট ডায়াবেটিস আটকাতে ভীষণ সক্রিয়। আর জলপাই এর তেল রক্তে গ্লুকোজ কমায়, কার্বোহাইড্রেট শোষণ হ্রাস করে, এবং ইনসুলিনে সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি করে। তাই অলিভ অয়েলে রান্না করা খাবার আপনার শরীরে শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করে ৷ আর এটা প্রমানিত হার্ভার্ড স্কুল অব পাবলিক হেলথ-এর গবেষণা অনুযায়ী, অলিভ অয়েল ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সাহায্য করে ৷

চোখের ক্ষেত্রে অলিভ অয়েল

অলিভ থেকে একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের প্রতিদিন যে পরিমাণ ভিটামিনের প্রয়োজন হয় তার  অনেকটাই আসে ৷ এতে রাতকানা রোগ থেকে শুরু করে গ্লুকোমা, এমনকি চোখের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে অলিভ অয়েল অত্যন্ত দরকারি৷

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ

উচ্চ রক্তচাপ কমাতে এই তেলের অবদান অনেক ৷ নিয়মিত এই অলিভ অয়েল খেলে তা শরীরের রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণ করে, ফলে হৃদরোগের ঝুঁকিও কমায় ৷

কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ

অলিভ অয়েল ব্যবহারের মাধ্যমে শরীরে কোলেস্টেরলের ভারসাম্য ধরে রাখা সম্ভব ৷ কারন অলিভ অয়েলে ন্যূনতম স্যাচুরেটেড এবং পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে, যার ফলে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে অলিভ অয়েল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ৷

মস্তিষ্কের যত্ন

মস্তিষ্কের যত্নে অলিভ অয়েল অনেক বড় অবদান রাখে । অলিভ অয়েলে থাকা অলিওক্যানথাল অ্যালজাইমার্স রোগ প্রতিরোধের জন্য খুবই প্রয়োজন, যেটা সায়েন্টিফিক আমেরিকান এর মতে প্রমানিত ৷ তাই এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল নিয়মিত খেলে স্মৃতিশক্তির ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে ৷

হাড়ের দৃঢ়তা বজায়

হাড়ের শক্তি বৃদ্ধিতে প্রয়োজন অস্টিওক্যালসিন নামের একটি হরমোন, যা পাওয়া যায় অলিভ অয়েল থেকে ৷ অনেকে ভাবেন শুধুমাত্র ক্যালসিয়াম খেলে মনে হয় হাড়ের দৃঢ়তা বৃদ্ধি করে । কিন্তু এটা ঠিক নয়, কারন অলিভ অয়েলও হাড়ের দৃঢ়তা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে ।

হৃদরোগ

অলিভ অয়েল রক্তনালীতে রক্ত জমাট বাঁধাকে প্রতিরোধ করে ।  তাই প্রতিদিন এক্সট্রা ভার্জিন অয়েল খেলে হৃদরোগের সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায় ৷ আর কেউ যদি পরিমাণমত অলিভ অয়েল নিয়মিত ব্যবহার করে, তাহলে তার হৃদরোগ নিরাময়ে কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে ৷

নখের যত্ন

অলিভ অয়েলে থাকা ভিটামিন ই নখের যত্ন নেয় ৷ এর জন্য ২-৩ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল নিতে হবে ৷ ঐ তেলে তুলো ভিজিয়ে প্রতিটি নখ মুড়িয়ে ফেলতে হবে ৷ ৩০ মিনিট পর পানি দিয়ে হাত-নখ ধুয়ে ফেললে ভাল ফলাফল পাওয়া যাবে ৷

ক্যান্সার প্রতিরোধ

অলিভ অয়েলে থাকা স্কোয়ালেন এবং টেরপেনয়েড এই দুটি যৌগ ক্যান্সার প্রতিরোধী। ক্যান্সার প্রতিহত করতে অলিভ অয়েল-এর ভূমিকা অনস্বীকার্য । প্রতিনিয়ত অলিভ অয়েল যারা খাদ্য তালিকায় রাখেন তাঁদের ক্যানসারের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায় ৷ বিশেষ করে মহিলাদের স্তন ক্যানসারের সম্ভাবনা অনেকটাই হ্রাস পায় এই অলিভ অয়েল থেকে ৷ কারন অলিভ অয়েলে থাকা অলেরোপিয়ান নামক এক প্রাকৃতিক উপাদান মূলত এই কাজ করে থাকে । সঠিক পরিমাণে নিয়মিত অলিভ অয়েল খেলে কলোরেক্টাল ক্যান্সারের সম্ভাবনাও হ্রাস পায়, যেটা বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে । অনেক বার মেডিটেরিনিয়ান ডায়েটের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, কারণ এই ডায়েটে অলিভ অয়েল-এর ব্যবহার বেশি থাকায় ক্যানসার থেকে শুরু করে অন্যান্য রোগের ঝুঁকি কম থাকে অনেকাংশে ৷ অলিভ অয়েলে কিছু অ্যান্টিক্যানসার এজেন্ট-এর উপস্থিতির পাশাপাশি পেরোজাইডেশন লিপিড অলেইক অ্যাসিডও থাকে ৷ আর অলিভে এই উপস্থিত থাকাই বেশ কিছু উপাদান শরীরকে দুরারোগ্য ব্যাব্ধির প্রকোপ থেকে বাঁচায় ৷

ওজন হ্রাস

ইনসুলিন হল এমন হরমোন যা রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে । শরীরে উচ্চ ইনসুলিনের মাত্রা বাড়লে চর্বি জমা শুরু হয় । মাঝারি কার্বোহাইড্রেটের সাথে অলিভ অয়েলে থাকা ভালো ফ্যাট ওজন কমাতে সাহায্য করে ।

অর্থাৎ, বোঝাই যাচ্ছে যে অলিভ অয়েলের স্বাস্থ্য উপকারিতা বেশ গুরুত্ববহন করে থাকে । এবার জানা যাক অলিভ অয়েল বা জলপাই তেলের ব্যবহার সম্পর্কে ।

অলিভ অয়েলের ব্যবহার

রান্না থেকে রূপচর্চা এবং শরীরচর্চায় অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে হয়, তাই মাথায় রাখতেই হবে দোকান বা স্টোর থেকে এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল কিনতে পারছি কিনা, সাথে অলিভ অয়েলের ব্যবহার সময়সীমাও দেখে নিতে হবে ৷ কারন বাজারে রিফাইন অয়েল-এ কৃত্রিম গন্ধ, স্বাদ যোগ করে ভেজাল অলিভ অয়েল বিক্রি করা হয় ৷ তাই অলিভ অয়েল কেনার আগে যাচাই যেমন দরকার, তেমনই ব্যবহারের আগে অবশ্যই এর গন্ধ এবং স্বাদ পরীক্ষা করে নিতে হবে ৷ সন্দেহ থাকলে তা ব্যবহার করা উচিৎ নয় ৷ অলিভ অয়েল খুব কম আঁচে রান্না করতে হয়, না করলে তাড়াহুড়াই পুড়ে যেতে পারে, অলিভ অয়েল বেশি গরম করলে এর সব পুষ্টিগুণও নষ্ট হয়ে যায় ৷ স্যালাড, পাস্তা জাতীয় খাবার অথবা কম আঁচে রান্না করা যাবে এমন সব খাবার তৈরিতে অলিভ অয়েল ব্যবহার করা যাবে ৷ অলিভ অয়েল বাড়ির সব থেকে অন্ধকার-পরিষ্কার এবং ঠান্ডা স্থানে রাখতে হয় ৷ ফ্রিজেও রাখা যাবে ৷ বোতলের ছিপি খুলে ব্যবহার করে তা আবার সঠিক সময়ে ভালভাবে লাগিয়ে রাখবেন ৷

অলিভ অয়েলের ক্ষতিকারক দিকগুলো

অলিভ অয়েলের যেমন গুণ অনেক, তেমনই কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও আছে ৷ এবার চলুন দেখে নেওয়া যাক স্বাস্থ্য এর ক্ষেত্রে অলিভ অয়েল থেকে কী ধরণের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে ৷

অলিভ অয়েলে থাকে প্রচুর পরিমাণে ক্যালোরি যা হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে ৷ তাই প্রতিদিন দুই টেবিল চামচের বেশি অলিভ অয়েল ব্যবহার করবেন না ৷

ডায়াবেটিসের সমস্যা রয়েছে যাদের তাদের আরও বেশি করে সচেতন হতে হবে এবং ব্লাড সুগার লেভেল পরীক্ষা করে তবেই অলিভ অয়েল গ্রহন করতে হবে ৷ অলিভ অয়েল মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারে রক্তচাপ অনিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়তে পারে, এছাড়া গলব্লাডার ব্লকেজসহ অন্যান্য সমস্যারও সৃষ্টি হতে পারে ৷

আপনার ওজনও অতিরিক্ত মাত্রায় অলিভ অয়েল ব্যবহারে বেড়ে যেতে পারে ৷ তাই অলিভ অয়েল নিয়মিত নির্দিষ্ট পরিমাণে ব্যবহার করতে হবে ৷ প্রতিদিনের খাবারে ২ টেবিল চামচ বা ২৮ এই তেল থাকলে তা স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে নিরাপদ৷

শরীরে কোনও ক্ষতস্থানে কোনও ভাবেই এই অলিভ অয়েল লাগানো যাবে না ৷ এতে ক্ষতের সমস্যা বেড়ে যাবে ৷

অলিভ অয়েল ২০ থেকে ৩০ সেকেন্ডের বেশি গরম করবেন না ৷ না হলে এর সমস্ত গুণ চলে গিয়ে এটি শরীরের উপকার না হয়ে, উল্টো বিপদ বাড়বে ৷

সার্জারির ২ সপ্তাহ আগে অলিভ অয়েল ব্যবহার বন্ধ করে দিতে হবে ৷

অলিভ অয়েলের গুণ অনেক, তাই এর সঠিক ব্যবহার করলে ভাল ফলাফল পাওয়া যাবে। তাই সবদিকে দেখে শুনে বিচার করে তবেই অলিভ অয়েল ব্যবহার করবেন ৷

Previous Post Next Post